সেমি পাকারা মাদক সন্ত্রাস!
সেমি পাকারা মাদক সন্ত্রাস!
এমএবি সুজন
এককথায় মাদক সেবকরাই মাদক ব্যবসায়ী তেমন মাদক ব্যবসায়ীরাও মাদক সেবনকারী তবে কেউ পেশাদার পাকা, কেউ কাঁচা কেউবা সেমি পাকা। তাবৎ সেমি পাকারাই যত ভয়ংকর ধূর্ত শেয়াল অতি ধুরন্ধর তারা কদাচিৎ গ্রেপ্তার হলেও মালের পরিমাণ পরিমাপ বিবেচিত হয়। সবসময় তারা লঘুদরে রেহাই পায়। আছে পুলিশের সাথেও তাদের দারুণ সখ্যতা। ঐসব সেমি পাকারা হরদম মাদকসেবী, বহনকারী ও মাদক কারবারি সাথে পুলিশের সোর্স বা ফরমা নামধারী তারা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে চিহ্নিত অপরাধী বটে। সোর্স বলতে তাদের কাজ হলো পুলিশকে অপরাধীর তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা অথচ তারা অপরাধীদের সাথে আর্থিক চুক্তিতে তাদের রীতিমত সেল্টার দিয়ে মাদক ব্যবসা চালায় আর পুলিশের চোখে ধুলা ছিটিয়ে তারা আসল ও প্রকৃত মাদক বেপারিদের নিরাপদ থাকতে সার্বিক সহযোগিতা দান করে। আর সেমি পাকাদের বারান্দায় ভুয়া নামধারী বিভিন্ন পেশাজীবি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারী পরিচয়দানকারী অসাধুরাও থাকেন বহাল তবিয়তে। আশাকরি মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে কিছু চাওয়া পাওয়ার নাই তবে রাজনীতি ও প্রশাসনের কাছে হারাবার নাই কিছু তেমন মানবিক উপকারী ও নিরাপদ রাজনেতা ও সুপার পুলিশ চায় জনগণ। নির্বাচন প্রচার প্রচারণা ও প্রস্তুতিকেন্দ্রিক মাদকের ব্যপক আমদানী ও সরবরাহ বড় হয়। আসন্ন নির্বাচনের গরমে মাদক খান আরামে এসব গোপন প্রচারে কাজ করে ঐ সেমি পাকা মধ্যস্বত্তভোগি দালালচক্র বা দালাল সিন্ডিকেট। মাদকের দালালরা অতিশয় দানব তারা মানবমুখে অসুরতুল্য এরাই পরিচয় ও বন্ধুত্বসূত্রে নতুন নতুন মাদক সেবক চাষ করে থাকে। একটি সত্য ঘটনার সূত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ির কথিত ডাঃ সোহাগ ডাক্তারী পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। সেখানে বাসস্থানসূত্রে পরিচয় হয় এক বহিস্কৃত ২ বছর পড়ুয়া মেডিকেল ছাত্র হাফ ডাঃ আজগর আলীর সাথে। সে সোহাগকে কূবুদ্ধি দিয়ে বুঝিয়ে বলে যে, ডাক্তারী পড়তে বা পাস করতে হলে মাঝেমধ্যে একটু নেশাপানি লাগে। সেমতে ফেনসিডিল গাঁজা দিয়ে শুরু করে ইয়াবাসহ মাত্র ১ বছরে ডাক্তারী ছেড়ে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরে সেই সিকি ডাক্তার সোহাগ। এখন সে রাজধানীর একটি রিহ্যাব সেন্টারে ক্লাস নেয় আর মাদক সেবনসহ মাদক দালাল হিসেবে মাদক ব্যবসা ও সরবরাহ করে আসছিল। এমন হাফ ডাক্তার, হাফ পুলিশ ও হাফ সাংবাদিক বা অন্যান্য হাফ পেশাজীবিদের মত সামাজিক সেমিপাকাদের অকাজ সমাজের কোন স্তরেই কাম্য নয় বলে মনে করেন সমাজের সুস্থ্য সবল ভাল মানুষেরা।